গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বালু বোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই বাসের সুপারভাইজার, ট্রাকচালকসহ তিন জন নিহত হয়েছে। এসময় আরও আট জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাক ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুরে পরে থাকায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ক্রেন দিয়ে সড়ক থেকে দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসটি রাস্তা থেকে সরানোর পর রাত পৌনে ১টায় যান চলাচল শুরু হয়।
নিহতেরা হলেন- ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার আশিক (২৭), ট্রাকচালক সোহাগ (৩০)। আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। নিহত সুপারভাইজার আশিক গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মৃত আসাদুজ্জামানের ছেলে ও নিহত ট্রাক চালক সোহাগ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতুল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা টুঙ্গিপাড়াগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে থাকা একটি বালু বোঝাই ট্রাককে পিছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার আশিক (২৭), ট্রাকচালক সোহাগ (৩০)সহ তিন জন নিহত হন। এসময় আরও অন্ততঃ আট জন যাত্রী আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, পরিচয় পাওয়া মরদেহ দুটি স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।