ফাইল ফটো
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অনার্স শেষ না করে মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই শিক্ষার্থী এখন মাস্টার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছে বলে জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বিষয়টি বিভিন্ন ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে লিখালিখি শুরু করেছেন। এই ঘটনায় পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এবিষয়ে তার জানার পর বুধবার (১৭ মার্চ) বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঐ শিক্ষার্থীকে অনার্সের নম্বরপত্র এবং সনদপত্র জমা দেবার জন্য সময় দিয়েছিলাম। কিন্তুু ঐ শিক্ষার্থী আমাকে ফোন করে জানায় সে মন্ত্রীর প্রোগ্রামে আছে। তাই অনার্সের নম্বরপত্র ও সনদপত্র জমা দিতে পারবে না। এরপরও আমি অফিস টাইমে তার জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু সে কোন রেসপন্স করেনি। আজকে আমাকে ফোন দিলে আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি অনার্সের নম্বরপত্র এবং সনদপত্র জমা না দেওয়া পর্যন্ত তোমার সাথে কোন কথা নেই। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম বলেন, যেহেতু একাডেমিক সিস্টেম অনুযায়ী সে এখন পর্যন্ত অনার্স শেষ করতে পারেনি তাই তার মাস্টার্সের ভর্তি বাতিল করা হবে। তবে এই ঘটনায় পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন হিসেবে আপনার দায়ভার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই দায় আমার নয়। আপনারা ঐ বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলুন।
অনার্স শেষ না করেই মাস্টার্সের পরীক্ষা দেয়ার বিষয়ে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাসেল ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি একসাথে কখনো অনার্স এবং এমএস ডিগ্রি একই সময়ে করা যায় না। এটা বড় ধরনের একটা জালিয়াতি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই এই ঘটনার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা যারা জড়িত আছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় এনে তাদের মুখশ উন্মোচন করা দরকার।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফিশারীজ টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করত চাইলে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক: দিদারুল ইসলাম
প্রকাশক: আজিজুর রহমান মোল্লা
মোবাইল নাম্বার: 01711121726
Email: bartajogot24@gmail.com & info@bartajogot24.com