
কক্সবাজার জেলায় সদ্য ঘোষিত কয়েকটি ইউনিট ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল এক নেতার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও সাবেক কিছু ছাত্রলীগ নেতার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়৷ এমন কি জেলা ছাত্রলীগের এই নেতাকে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ পলিটেকনিক কলেজের সাবেক এক ছাত্রদল কর্মী, সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা, বর্তমানে একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও অন্য কয়েকজন মিলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ হামলা চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে৷ এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা চৌধুরী মুজাহিদুল হক সৌরভ৷ তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:-
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিটা ছাত্রলীগ কর্মীদের চেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা বেশী করতে চায়! ক্ষেত্র বিশেষে অনুপ্রবেশকারীরা অতি উৎসাহী জ্ঞান দিয়ে থাকে! এমনকি ছাত্রলীগ কখন কি প্রোগ্রাম কাকে নিয়ে করবে/কোন কোন ছেলেদের নেতা বানাবে বা বানাবে না/কার সাথে কথা বলবে বা বলবে না থেকে শুরু করে সবকিছুতেই তাদের একটা উটকো উপদেশ থাকে৷ এটা পুরোটাই অনধিকার চর্চা৷ অথচ সেসকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা নিজেদের কমিটির দায়িত্বটাই ঠিকঠাক পালন করেন না!
প্রিয় ভাইয়েরা, নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন এবং অন্যকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে দেন৷ এতে মাঠের রাজনীতি শক্তিশালী হয়৷ অন্য সংগঠনের দায়িত্বও নিজেরা পালন করতে গেলে নিজের সংগঠনেরই ১২/১৩টা বাজা সারা হয়ে যাবে।
অনধিকার চর্চা বন্ধ না হলে কক্সবাজার জেলায় সংগঠনের কর্মী তৈরী হবে না, আর কর্মী তৈরী না হলে রাজনীতির মাঠ থেকে ভবিষ্যতের জন্য 'নেতৃত্ব' সৃষ্টি না হয়ে 'গোলাম' সৃষ্টি হবে যা স্থানীয় পর্যায়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে দুর্বল করবে৷ রাজনীতিতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরী করতে হয় সংগঠনের কর্মী সৃষ্টির মাধ্যমে৷ রাজনৈতিক গোলাম ব্যাক্তির জন্য লাভজনক হলেও সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর।
ছাত্রলীগকে আপন মহিমায় নিজেদের মতো করে বিকশিত হতে দিন৷ এতে ছাত্রলীগ কর্মীরা রাজনীতিটা শিখতে পারবে এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরী হবে৷ ছাত্রলীগ করা সাবেক/যুবলীগ/স্বেচ্ছাসেবক লীগ/শ্রমিক লীগের ভাইয়েরা, আর কত বছর ছাত্রলীগ করবেন? লজ্জা লাগেনা আপনাদের?
লেখক: চৌধুরী মুজাহিদুল হক সৌরভ
সদস্য, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।