
জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে রহিম হত্যা মামলায় ২ সহোদরসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (২৭ জুন) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা ও অনাদায় আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেজনু মিয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য ৩ আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার রাম জীবনপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সেজনু মিয়া ও মিজানুর রহমান, ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মনছুর আলী, গঙ্গাবর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে জামাল ফকির।
রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত মিজানুর রহমান, মুনসুর আলী ও জামাল ফকিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। অপর দণ্ডিত সেজুন মিয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার রাম জীবনপুর গ্রামের একটি জমির দখল নিয়ে চাষ করতে থাকে দণ্ডপ্রাপ্তরা।
এ সময় আব্দুর রহিম তাদের জমিতে হাল চাষের কারণ জানতে চাইলে দণ্ডপ্রাপ্তরা আবদুর রহিমকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তার ছেলে ও এলাকাবাসী রহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে মধুপুর হাসপাতালে পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সুলতান মিয়া ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি ধনবাড়ী থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত পিপি মো. খোরশেদ আলম ও হাসিমুল আক্তার। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন যাইদ হাসান খান বাবু মো. দবির উদ্দিন ভুঁইয়া ও মো. নাদিম উদ্দিন নিউটন।