প্রকাশিত:
১৫ জুলাই ২০২৩, ১৯:৪২
বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে দীর্ঘদিনে সম্পর্কের ইতি টানলেন পল টমাস স্মলি। তিনি এরই মধ্যে এরই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণও করেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
স্মলি বাফুফের টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি এলিট একাডেমি, বয়সভিত্তিক দলগুলো, নারী ফুটবল, কোচেস ট্রেনিং-এমন অনেক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ইংলিশ বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয়ান ২০১৬ সাল থেকে বাফুফের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাঝে কিছুদিনের বিরতি দিয়ে আবার বাফুফেতে ফিরে আসেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে মেয়েদের ফুটবলে তার ‘অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ’সহ নানা বিষয় নিয়ে আড়ালে-আবডালে উষ্মা প্রকাশ করছিলেন কোচ, কর্মকর্তাদের অনেকে। এমনকি দুর্নীতির কারণে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের বহিঃস্কার হওয়া নিয়েও নাকি ‘অস্বস্তিতে’ ছিলেন তিনি।
জানা যায়, এমন অস্বস্তি নিয়ে স্মলি কাজ চালিয়ে যেতে চাননি। তবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এই অস্ট্রেলিয়ানের ‘অপরিহার্যতা’ নিয়ে প্রকাশ্যে, ঘরোয়া বৈঠকে কথা বলেছেন একাধিকবার। শনিবার সাবিনা-কৃষ্ণাদের সঙ্গে হোটেলে দেখা করতে এসেও বললেন পুরান কথা। জানালেন ‘অসুখী’ স্মলি চলেই যাচ্ছেন।
সালাউদ্দিন বলেন,‘যদি কেউ পদত্যাগপত্র দেয়, সেটা আমরা গ্রহণ করি, একসেপ্ট করি। আমার সাথে, আমার অফিসের কেউ যখনই পদত্যাগ পত্র দিয়েছে, তখনই সেটা গ্রহণ করেছি। কেননা, কেউ যদি কাজ করতে না চায়, তাহলে আমি নেগোসিয়েট করতে চাই না। আপনার সাথে আমি নেগোসিয়েট করব কখন, যখন আপনি বলবেন ১০ টাকার জায়গায় ১২ টাকা দাও, এটা-সেটা দাও, কিন্তু আপনি যদি বলেন কাজ করতে চাই না, তখন তো আর কথা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সাথে একবার নয়, অনেকবার কথা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই দেশের ফুটবল এতদিন যত টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পেয়েছে, তাদের মধ্যে স্মলিই সেরা। সেজন্য আমি ওর সাথে অনেকবার কথা বলেছি। গত দুই-তিন মাস একটা শুক্রবারও সে আমাকে ছাড়েনি। ফুটবলের জন্য এটা-ওটা-সেটা করতে হবে, অনেক আলোচনা করেছে। কিন্তু দিনশেষে সত্যি হচ্ছে সে অসুখী, অসুখী নিয়ে যদি থাকে…তার অসুখী হওয়ার কারণ আমার চেয়ে আপনারা বেশি জানেন।’
মন্তব্য করুন: